Thursday, September 19, 2013

সমাজে যেসব মাসয়ালা নিয়ে বিভেদ সৃষ্টি করা হচ্ছে সেসবের শরয়ী মর্যাদা কি? ব্লগারের মন্তব্য এবং ডা. ইসরার আহমদ

ইখতেলাফী ফুরুয়ী মাসয়ালা

লিখেছেন:   আবদুস সবুর খান 


আজকাল দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন এখতেলাফি মাসয়ালার ব্যাপারে খুব বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে। কিন্তু এই সকল ব্যাপারে সলফে সালেহীনদের কি মত . . .
এই সব ইখতেলাফী ফুরুয়ী মাসয়ালার বিভিন্ন মতের ব্যাপারে ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রঃ) বলেছেনঃ

وَقَاعِدَتُنَا فِي هَذَا الْبَابِ أَصَحُّ الْقَوَاعِدِ أَنَّ جَمِيعَ صِفَاتِ الْعِبَادَاتِ مِنْ الْأَقْوَالِ وَالْأَفْعَالِ إذَا كَانَتْ مَأْثُورَةً أَثَرًا يَصِحُّ التَّمَسُّكُ بِهِ لَمْ يُكْرَهْ شَيْءٌ مِنْ ذَلِكَ بَلْ يُشْرَعُ ذَلِكَ كُلُّهُ كَمَا قُلْنَا فِي أَنْوَاعِ صَلَاةِ الْخَوْفِ وَفِي نَوْعَيْ الْأَذَانِ التَّرْجِيعِ وَتَرْكِهِ وَنَوْعَيْ الْإِقَامَةِ شَفْعِهَا وَإِفْرَادِهَا وَكَمَا قُلْنَا فِي أَنْوَاعِ التَّشَهُّدَاتِ وَأَنْوَاعِ الِاسْتِفْتَاحَاتِ وَأَنْوَاعِ الِاسْتِعَاذَاتِ وَأَنْوَاعِ الْقِرَاءَاتِ وَأَنْوَاعِ تَكْبِيرَاتِ الْعِيدِ الزَّوَائِدِ وَأَنْوَاعِ صَلَاةِ الْجِنَازَةِ وَسُجُودِ السَّهْوِ وَالْقُنُوتِ قَبْلَ الرُّكُوعِ وَبَعْدَهُ وَالتَّحْمِيدِ بِإِثْبَاتِ الْوَاوِ وَحَذْفِهَا وَغَيْرِ ذَلِكَ لَكِنْ قَدْ يُسْتَحَبُّ بَعْضُ هَذِهِ الْمَأْثُورَاتِ وَيُفَضَّلُ عَلَى بَعْضٍ إذَا قَامَ دَلِيلٌ يُوجِبُ التَّفْضِيلَ وَلَا يُكْرَهُ الْآخَرُ .
“এ বিষয়ে আমাদের নীতি, আর এটাই বিশুদ্ধতম নীতি, এই যে, ইবাদতের পদ্ধতির বিষয়ে (যেসব ক্ষেত্রে মতভেদ রয়েছে তাতে) যে পদ্ধতি সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য আছার রয়েছে তা মাকরূহ হবে না; বরং তা হবে শরীয়াত সম্মত। সালাতুল খওফের বিভিন্ন পদ্ধতি, আযানের দুই নিয়ম : তারজীযুক্ত বা তারজীবিহীন, ইকামতের দুই নিয়ম : বাক্যগুলো দুইবার করে বলা কিংবা একবার করে, তাশাহহুদ, ছানা, আউযু এর বিভিন্ন পাঠ, কুরআনের বিভিন্ন কিরাআত, এই সবগুলো এই নীতিরই অন্তর্ভূক্ত। এভাবে ঈদের নামাযের অতিরিক্ত তাকবীর-সংখ্যা (ছয় তাকবীর বা বারো তাকবীর), জানাযার নামাযের বিভিন্ন নিয়ম, সাহু সিজদার বিভিন্ন নিয়ম, কুনুত পাঠ, রুকুর পরে বা পূর্বে, রাব্বানালাকাল হামদ, ওয়াসহ অথবা ওয়া ছাড়া, এই সবগুলোই শরীয়াতসম্মত। কোনো পদ্ধতি কখনো উত্তম হতে পারে কিন্তু অন্যটি মাকরূহ নয়”। (মাজমূউল ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়া ২৪/২৪২-২৪৩; আল-ফাতাওয়া আল কুবরা ১/১৪০)

ইবনুল কাইয়্যিম (রঃ) যাদুল মাআদ গ্রন্থে' ফজরের সালাতে কুনুত পড়া প্রসঙ্গে বলেছেনঃ

وهذا من الاختلاف المباح الذي لا يعنف فيه من فعله ولا من تركه وهذا كرفع اليدين في الصلاة وتركه وكالخلاف في أنواع

التشهدات وأنواع الأذان والإقامة وأنواع النسك من الإفراد والقران والتمتع
“এটা ওইসব মতভেদের অন্তর্ভূক্ত যাতে কোনো পক্ষই নিন্দা ও ভর্ৎসনার পাত্র নন। এটা ঠিক তেমনই যেমন সালাতে রাফয়ে ইয়াদাইন করা বা না করা, তদ্রূপ আত্তাহিয়্যাতুর বিভিন্ন পাঠ, আযান-ইকামাতের বিভিন্ন ধরন, হজ্বের বিভিন্ন প্রকার - ইফরাদ, কিরান, তামাত্তু বিষয়ে মতভেদের মতোই”। (যাদুল মায়াদ, ১/২৫৬)

দেখা যাচ্ছে, এই দুই সম্মানিত ইমামের (রঃ) মতে আমাদের সমাজে বর্তমানে যে সকল ফুরুয়ী ইখতিলাফী মাসয়ালা নিয়ে প্রচুর সময় ব্যয় করা হচ্ছে, তার বেশীরভাগকেই তাঁরা মুস্তাহাব পর্যায়ের বলছেন। যেমনঃ
- রাফে ইয়াদাইন করা বা না করা।
- ইকামাতের কথাগুলো দুইবার বনাম একবার বলা।
- ঈদের নামাজের ৬ তাকবীর বনাম ১২ তাকবীর।
- সিজদা সাহুর বিভিন্ন নিয়ম।
- দুয়া কুনুত রুকুর আগে বনাম রুকুর পরে। ইত্যাদি।

অর্থাৎ এগুলো করলে কিংবা না করলে নামাজের কোন ক্ষতি হবে না। নামাজ পুরোপুরিই আদায় হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। এসব বেশীরভাগ মাসয়ালায় এক ইমামের মতে এক পদ্ধতি উত্তম এবং অন্য ইমামের মতে অপর কোন পদ্ধতি উত্তম।

Source: http://www.bdtoday.net

উপরের আলোচনার আলোকে নীচের বর্ণনা গভীরভাবে লক্ষ্য করুন

ব্লগারের মন্তব্যঃ
মুস্তাহাব পর্যায়ের আমল নিয়ে জেনে হোক, না জেনে হোক শয়তানী  এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে এক শ্রেণীর মানুষ মুসলিম সমাজে ব্যাপক বিভেদ সৃষ্টি করছে। তাদের নামাজই একমাত্র রাছুলের নামাজ। অন্যদের নামাজ রাছুলের নামাজ নয়, প্রচলিত নামাজ বলছে। এমনকি কেউ কেউ গাঁজাখুরী নামাজও বলছে। এই ধরণের ধর্মীয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফিতনা-ফ্যাসাদ ও উগ্রতা ছড়িয়ে দিচ্ছে। এই ভ্রান্তি, ফেতনা-ফ্যাসাদ দূর করা প্রয়োজন। 

আহলে হাদীস/সালাফীদের সম্পর্কে পিচ টিভি'র আলোচক ডা. ইসরার আহমদের দৃষ্টিভঙ্গি:

সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী (রহঃ) ও হানাফী মাযহাব

সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী (রহঃ) ও হানাফী মাযহাব


সাবেক আমিরে জামায়াত অধ্যাপক গোলাম আজম বলেন, “মাওলানা মাওদুদী হানাফী মাযহাবের অনুসারী ছিলেন। জামায়াতের মধ্যে আহলে হাদীসের লোকও রয়েছে” (ইকামাতে দ্বীন, জামায়াতে ইসলামী ও মাওলানা মাওদূদী(রহ:) অধ্যায়)। এছাড়া কোরআন ও সহীহ হাদীসের ভিত্তিতে ইমাম আবু হানীফা (রহ:) মাসয়ালা নির্ধারণ করেছেন। তিনি বলেছেন: ইযা ছোয়াহ্হাল হাদীছু ফাহুয়া মাযহাবী অর্থাৎ “সহীহ হাদীসই আমার মাযহাব হিসাবে গণ্য”(বিরুদ্ধবাদীরা একথাকে উল্টো অর্থে গ্রহণ করে মিথ্যাচার করেন)। ইমাম আবু হানীফা (রহ:) নিজে তাবেয়ী ছিলেন ( তিনি ৮০হিজরীতে জন্মগ্রহণ করেন এবং সর্বশেষ সাহাবী ইন্তেকাল করেন ১১০ হিজরীতে)। আর তিনি মতান্তরে ৩৬/৪০জন তাবেয়ীর দ্বারা  টীম গঠন করে এদের মাধ্যমে মাসয়ালা নির্ধারণ করতেন। অতএব কোরআন-হাদীস অনুসরণের ক্ষেত্রে হানাফী মাযহাবই অধিকতর নির্ভরযোগ্য।  এছাড়া বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ হানাফী মাযহাব অনুসরণ করে। অতএব অধিকতর নির্ভরযোগ্য ও সহীহ রাস্তা পরিত্যাগ করে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের বৃহত্তর জনগণ থেকে বিাচ্ছন্ন করার ভ্রান্ত তৎপরতা থেকে বিরত থাকা উচিত।

Related Link:
 ইমাম আবু হানীফা (রহ.) তাবেয়ী ছিলেন। 
ইমাম আবু হানীফা রাহ. হাফিযুল হাদীসও ছিলেন : একটি প্রশ্ন ও তার উত্তর 
হাদীস শাস্ত্রে ইমাম আবু হানীফা (রহ.) 


আল্লামা মওদুদী (রাহঃ)-এর নিকট এক ব্যক্তি প্রশ্নের সুরে বলেন, "রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তো একটি পদ্ধতিতেই নামায আদায় করেছেন। কিন্তু লোকেরা যে বিভিন্ন পদ্ধতিতে নামায পড়ছে, ইসলামে এর স্থান কোথায়? আমি জানতে চাই কোন ফেরকা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর পদ্ধতিতে নামায পড়ছে? আপনি কোন পদ্ধতিতে নামায পড়েন?
জবাবে আল্লামা মওদুদী রাহঃ বলেন, আহলে হাদীস, হানাফী, শাফেয়ী, মালেকী ও হাম্বলীগণ যেসব পদ্ধতিতে নামায পড়েন, তার সবগুলোই নবী (সাঃ) থেকে প্রমাণিত। এ জন্য তাদের কোনো একটি দলের শ্রেষ্ঠ আলেমগণ কখনো এ কথা বলেনি যে, তাদের পদ্ধতি ছাড়া অন্য পদ্ধতিতে যারা নামায পড়ে তাদের নামায হয় না। এ ধরণের কথা বলা তো কেবল অজ্ঞ লোকদের কাজ।.... আমি নিজে হানাফী পদ্ধতিতে নামায পড়ি। কিন্তু আহলে হাদীস, হানাফী, মালেকী ও হাম্বলী সবার নামাযকে সহীহ ও সঠিক মনে করি। এদের সবার পিছনে আমি নামায পড়ে থাকি। (রাসায়েল ও মাসায়েল, পৃঃ ২/২৪০)


Wednesday, September 18, 2013

মাযহাব ও হানাফী মাযহাব: অভিযোগের জবাব ও অন্যান্য


মুফতী মিজানুর রহমান সাইয়েদের  আলোচনার অংশবিশেষ



নামাযে কিয়াম অবস্থায় কোথায় হাত রাখা সুন্নাত?




ইমামের পিছনে মুক্তাদীর সুরা ফাতিহা পড়া আর না পড়া




মুক্তাদি সূরা ফাতিহা পড়বে না (Trailer) - শায়খ গোলামুর রহমান


আস্তে আমীন, জোরে আমীন




                          
                          নামাযে পা ফাঁকা করে দাড়ানোর বিধান কি?



লা-মাযহাবীদের নানা বিভক্তি নিয়ে জাকির নায়েকসহ অনেকে। উম্মাহ’র অনৈক্যের কারণ কি ?

Tuesday, September 17, 2013

Is saying Ameen loudly in Sahih Bukhari?




আস্তে আমীন, জোরে আমীন

(Related all links):




রাসুল সাঃ বিশ রাকাআত তারাবীহ ও তিন রাকাআত বিতর পড়তেন সহিহ দলিল দ্বারা প্রমানিত...

-----------------------------------------------------------

عن ابن عباس ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يصلى فى رمضان عشرين ركعة والوتر

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ রমজান মাসে বিশ রাকাত এবং বিতির পড়তেন। {মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা-২/২৯৪, হাদীস নং- ৭৬৯২, মুসনাদে আব্দ বিন হুমাইদ-২১৮, আল মুজামুল কাবীর, হাদীস নং-১২১০২, মাজমাউজ যাওয়ায়েদ, হাদীস নং-১৭২, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৪৩৯১}

عن جابر بن عبد الله قال خرج النبى صلى الله عليه وسلم ذات ليلة فى رمضان فصلى الناس اربعة وعشرون ركعة واوتر بثلاثة

হযরত জাবের রাঃ বলেনঃ রমজান মাসের এক রাতে রাসূল সাঃ বাহিরে তাশরীফ নিয়ে এলেন। আর সাহাবায়ে কেরামকে ২৪ রাকাত [৪ রাকাত ঈশার, আর ২০ রাকাত তারাবীহের] নামায পড়ালেন। আর তিন রাকাত বিতির পড়ালেন। [তারীখে জুরজান-২৭}

যেহেতু কথিত আহলে হাদীস ভাইদের কাছে দলীল শুধু কুরআন ও সহীহ হাদীস। তথা আল্লাহ ও রাসূল সাঃ এর কথা। কোন ব্যক্তির মতামত তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আর এ দু’টি হাদীসকে আল্লাহ এবং রাসূল সাঃ না সহীহ বলেছেন, না জঈফ বলেছেন। তাই গায়রে মুকাল্লিদরা এ দু’টি হাদীসকে না সহীহ বলতে পারবে, না জঈফ বলতে পারবে। এবার দেখার বিষয় হল, উম্মতের ঐক্যমত্বের আমল এর উপর আছে কি নেই? যদি দেখা যায় যে, উম্মতের আমল এর উপরই। তাহলে আমল হিসেবে গ্রহণযোগ্য হওয়ার দ্বারা উক্ত হাদীস সহীহ হয়ে যায়।

- ইসলামি লেখক ও গবেষকইসলামি লেইসলামি লেখক ও গবেষকখক ও গবেষক


























Please browse this link for more information: http://zamanhomeo.com/blog/?p=13637


Related All Link: 
তারাবিহের নামাজ কেন ২০ রাকাত ? 
রাসুল সাঃ বিশ রাকাআত তারাবীহ ও তিন রাকাআত বিতর পড়তেন সহিহ দলিল দ্বারা প্রমানিত...
তারাবিহের নামাজ ৮ রাকাত লয় কেন?


তারাবিহের নামাজ ৮ রাকাত লয় কেন?






Related All Link: 
তারাবিহের নামাজ কেন ২০ রাকাত ? 
রাসুল সাঃ বিশ রাকাআত তারাবীহ ও তিন রাকাআত বিতর পড়তেন সহিহ দলিল দ্বারা প্রমানিত...
তারাবিহের নামাজ ৮ রাকাত লয় কেন?