Pages

Tuesday, June 18, 2013

ইফতারের সঠিক সময়ঃ সূর্যাস্তের সাথে সাথে নাকি রাত হবার পর?

ইফতারের সঠিক সময়ঃ সূর্যাস্তের সাথে সাথে নাকি রাত হবার পর?

লিখেছেন মুহাম্মদ হাসান

এক আহলে কুরানি আমাকে বলল যে আমাদের নাকি রোযা হয়না কারন আমরা নাকি রাত হওয়ার আগেই ইফতার করি! আমি জিজ্ঞাস করলাম কি বলছেন ভাই? তিনি বললেন হ্যাঁ, কারন আল্লাহ কুরানে বলেছেন “অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত” (সুরা বাকারা ২:১৮৭) । সুতরাং আমাদের করোর রোযা হয় না । উনি হাদিস মানে না । উনাকে বুঝাতে হলে কুরান থেকেই বুঝাতে হবে, যদিও অতিতে অনেকবার কুরান থেকেই বুঝানোর চেষ্টা করেছিলাম- উনি কোন উত্তর দেননি এবং বুঝারও চেষ্টা করেননি । তারপরও চেষ্টা করছি- আমাদের কাজ চেষ্টা করা হেদায়াতের মালিক আল্লাহ । আসুন কুরান থেকেই দেখি “রাত” কখন শুরু হয়, ইনশা আল্লাহ ।  কুরানের এই আয়াতের ব্যাখ্যা কুরানের মধ্যেই দেওয়া আছে যার দারা প্রমানিত হয় যে “রাত” শুরু হয় সূর্যাস্তের মাধ্যমে । শুরুতেই আমরা দেখে নেই “রাত” বা night দারা কি বুঝি । অক্সফোর্ড ডিকশনারি অনুযায়ী night মানে হলঃ “The period from sunset to sunrise in each twenty-four hours”  অর্থাৎ রাত শুরু হয় সূর্যাস্তের সাথে সাথে । আর রাত দারা একটা নির্দিষ্ট  সময় কাল বুঝানো হয়- রাত মানেই অন্ধকারময়তা বুঝায় না । যেমন সূর্য গ্রহনের সময় দিনের বেলাও যদি অন্ধকার হয় সেটাকে আমরা রাত বলিনা । অন্ধকারময়তা হল আলোর অনুপস্থিতি যা রাতের অংশ ।  এখন আসুন দেখি রাতের শুরুর ব্যাপারে কুরআন কি বলে ।
প্রমান ১। “তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে। তিনি রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন” সূরা যোমর 39:৫
এই আয়াতে  يُكَوِّرُ শব্দের অর্থ হল কোন কিছুকে মোড়া বা আচ্ছাদিত করা বা কুন্ডলী পাকানো বা কোন জিনিসকে প্যাঁচানো । যেমন করে মাথায় পাগড়ী প্যাঁচানো হয়। এর দারা এটাও প্রমানিত হয় যে পৃথিবী গোলাকার তানাহলে রাত ও দিনের আকস্মিক পরিবর্তন হত । মোড়ান, আচ্ছাদন বা প্যাঁচানো একটি slow process অর্থাৎ এটি আস্তে আস্তে ঘটে । সুতরাং এই আয়াত হতে এটা পরিস্কার যে এই আচ্ছাদনের কাজটি সূর্যাস্তের মাধ্যমে শুরু হয় যেহেতু সূর্যাস্তের ফলে আস্তে আস্তে অন্ধকার হওয়া শুরু হয় আর ঠিক তখনই রাতের শুরু হয় । যদি রাতের শুরু বলতে একদম অন্ধকারকে বুঝানো হয় (যেটা সূর্য ডুবার প্রায় এক ঘণ্টা পর পরিলক্ষিত হয়) তাহলে এই আয়াতের রাত্রিকে দিবস দারা আচ্ছাদিত করার অর্থ কি? কারন তখন আর এটা আচ্ছাদন হবেনা- এটা হবে আকস্মিক পরিবর্তন কিন্তু আমরা বাস্তবে আচ্ছাদনই দেখতে পাই । নিম্নোক্ত আয়াত থেকেও আমরা এই ধারনা পাই ।
“এটা এ জন্যে যে, আল্লাহ রাত্রিকে দিনের মধ্যে এবং দিনকে রাত্রির মধ্য দাখিল করে দেন এবং আল্লাহ সবকিছু শোনেন, দেখেন” (সূরা হাজ্জ্ব২২ আয়াত ৬১)

প্রমান ২। ﴿وَأَقِمِ الصَّلَوةَ طَرَفَىِ النَّهَارِ وَزُلَفاً مِّنَ الَّيْلِ إِنَّ الْحَسَنَـتِ يُذْهِبْنَ السَّـيِّئَـتِ ذلِكَ ذِكْرَى لِلذَكِرِينَ – وَاصْبِرْ فَإِنَّ اللَّهَ لاَ يُضِيعُ أَجْرَ الْمُحْسِنِينَ ﴾
“আর দিনের দুই প্রান্তেই নামায ঠিক রাখবে, এবং রাতের প্রান্তভাগে পূর্ণ কাজ অবশ্যই পাপ দূর করে দেয়, যারা স্মরণ রাখে তাদের জন্য এটি এক মহা স্মারক” (সুরা হুদ ১১ আয়াত ১১৪)
 এই আয়াতে ব্যবহৃত শব্দ طَرَفَىِ যার অর্থ দুই প্রান্ত – এর দারা নির্দিষ্ট  মুহূর্ত বা পয়েন্ট বুঝানো হয় । সুতরাং এখানে দিনের দুটি প্রান্ত বলতে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তকেই বুঝানো হচ্ছে যেহেতু এই দুটি প্রান্তই হল দিনের নির্দিষ্ট  মুহূর্ত বা পয়েন্ট । এর পরক্ষনেই বলা হয়েছে “রাতের প্রান্তভাগে” অর্থাৎ সূর্যাস্তের সংগে সংগে রাতের শুরু হয় যা এই আয়াত দারা স্পষ্টতই প্রতিয়মান ।
প্রমান ৩।
وَالشَّمْسِ وَضُحَـهَا- وَالْقَمَرِ إِذَا تَلـهَا- وَالنَّهَارِ إِذَا جَلَّـهَا- وَالَّيْلِ إِذَا يَغْشَـهَ
“১-শপথ সূর্যের ও তার কিরণের, ২-শপথ চন্দ্রের যখন তা সূর্যের পশ্চাতে আসে,৩- শপথ দিবসের যখন তা (সূর্যকে) প্রকাশ করে, ৪-শপথ রাত্রির যখন তা সূর্যকে ঢেকে দেয়” (সূরা আশ-শামস ৯১ আয়াত ১-৪)
৩ নম্বর আয়াত থেকে স্পষ্ট হচ্ছেঃ দিবস= সূর্যের প্রকাশ
৪ নম্বর আয়াত থেকে স্পষ্ট হচ্ছেঃ রাত্রি= সূর্যের প্রস্থান অর্থাৎ রাতের শুরু হচ্ছে সূর্যাস্তের সাথে সাথে । সুতরাং  “অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত” (সুরা বাকারা ২:১৮৭) এর অর্থ দাড়ায় সূর্যাস্তের সাথে রোযা পূর্ণ হয়ে যায় এবং এটাই ইফতারের সঠিক সময় । আর এটাই রাসুলের(সঃ) শিক্ষা ।
আল্লাহ আমাদেরকে ইফতারের সময় বের করার জন্য এত গবেষণামুলক কঠিন পদ্ধতি অবলম্বন করতে বলেননি । এটা শুধু এই পথভ্রষ্ট একদল “আহলে কুরান” যুবকদের জন্য আমার সামান্য প্রচেষ্টা । আমি কুরআন থেকেই রাসুলের সুন্নাতকে প্রমাণ করার চেষ্টা করছি । আল্লাহ আমাদের জন্য তার রাসু(সঃ) কে অনুসরণের মাধ্যমে আমাদের জন্য দ্বীনকে সহজ করে দিয়েছেন । আসলে এদেরকে “আহলে কুরান” বলাও ঠিকনা যেহেতু “আহলে কুরান” মানে হল যারা কুরআনকে অনুসরণ করে কিন্তু এরা কুরআনকে প্রকৃত পক্ষে অনুসরণ করেনা । এরা নিজেরদের মনস্কামনা চরিতার্থ করার জন্য সুবিধামত কুরআনের কয়েকটি আয়াতকে মানে । এরা কুরআনের কিছু অংশ মানে আর কিছু অংশকে মানে না । এদের কথাই আল্লাহ কুরআনে বলেছেন এভাবে “ তবে কি তোমরা গ্রন্থের কিয়দংশ বিশ্বাস কর এবং কিয়দংশ অবিশ্বাস কর? যারা এরূপ করে পার্থিব জীবনে দূগর্তি ছাড়া তাদের আর কোনই পথ নেই। কিয়ামতের দিন তাদের কঠোরতম শাস্তির দিকে পৌঁছে দেয়া হবে। আল্লাহ তোমাদের কাজ-কর্ম সম্পর্কে বে-খবর নন” (সূরা আল বাক্বারাহ ২ আয়াত ৮৫)  আল্লাহ আমাদেরকে তার দ্বীনকে সথিকভাবে বুঝার এবং মানার তাওফিক দান করুক । আমিন ।  
আমার আহলে কুরানিদের কাছে একটা প্রশ্নঃ উত্তর নরওয়েতে মে থেকে জুলাই  মাস পর্যন্ত সূর্য ডুবে না সেজন্য রাত হয় না । এখানকার মুছলমানেরা নামাজ রোযা কিভাবে করবে? 
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ  সময় স্বল্পতার কারনে লেখাটি তাড়াহুড়ো করে লেখা হয়েছে । ভুলত্রুটি গুলো ধরিয়ে দিলে খুশি হব । 



রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
: "إذا أقبل الليل من ههنا وأدبر النهار من ههنا وغربت الشمس فقد أفطر الصائم" [أخرجه البخاري رقم 1954 ومسلم رقم 1100].
যখন রাত এ দিক হতে আসে, দিন এ দিক হতে যায় আর সূর্য অস্ত যায় তখন রোজাদারের ইফতার হয়ে যায়। [ বোখারি ১৯৫৪ ও মুসলিম ১১০০]




রোজাদারের ইফতার করার আনন্দ


রোজাদার ব্যক্তি সারা দিন রোজা রেখে সূর্যাস্তের পরই যেসব খাদ্য বা পানীয় গ্রহণ করে রোজা ভঙ্গ করেন, তা-ই ইফতার; এর অর্থ রোজা ভঙ্গ করা। আরবি ‘ফুতুর’ শব্দ থেকে এটি উদ্ভূত, যার মানে নাশতা করা, হালকা খাদ্য গ্রহণ করা। ইফতার শব্দের অন্য অর্থ বিরতি, ভঙ্গ করা বা দিন ও রাতের মধ্যবর্তী সময়ের হালকা খাবার। শরিয়তের পরিভাষায় সূর্য অস্তমিত হওয়ার পর রোজা সমাপ্তির জন্য পানাহার করাকে ইফতার বলা হয়। রোজা পালনে ইফতারের ফজিলত অপরিসীম এবং সময়মতো ইফতার করার মধ্যে রয়েছে অশেষ সওয়াব ও কল্যাণ।
সারা দিন রোজা পালন করে যথাযথভাবে সময়মতো ইফতার করার গুরুত্ব অত্যধিক। সূর্যাস্তের পরপরই ইফতার করা উত্তম। অন্ধকার হওয়ার জন্য বিলম্ব করা উচিত নয়। বিলম্বে ইফতার করা মাকরুহ। সেহির বিলম্বে খাওয়ায় সওয়াব আর ইফতার বিলম্বে না করায় সওয়াব। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা ইফতারের সময় হওয়ামাত্র ইফতার করে নাও, এতটুকু বিলম্ব কোরো না।’ হাদিস শরিফে বলা হয়েছে, ‘মানুষ তত দিন কল্যাণের মধ্যে থাকবে, যত দিন তারা ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করে নেবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
ইফতারের পূর্বমুহূর্তে দোয়ার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। ইফতারের সময় এ দোয়া পড়তে হয়, ‘আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া আলা রিজকিকা আফতারতু’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! তোমার জন্যই রোজা পালন করলাম, আর তোমার প্রদত্ত রিজিক দিয়েই ইফতার করছি।’ ইফতারের সময়টি যেমন সুনির্দিষ্ট করা, তেমনি এ সময়ে আল্লাহর কাছে রোজাদার ব্যক্তির দোয়াও কবুল করার পরম মুহূর্ত। ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া ফেরত দেওয়া হয় না। তাই প্রত্যেকের উচিত ইফতারের সময় অধিক পরিমাণে দোয়া করা। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘ইফতার করার সময় রোজাদারের দোয়া কবুল হয়ে থাকে।’ (আবু দাউদ)
যে পর্যন্ত সূর্যাস্ত সম্বন্ধে কিছুমাত্র সন্দেহ থাকে, সে পর্যন্ত ইফতার করা জায়েজ নয়। সূর্যাস্তের ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে ইফতার করতে হবে। ঘড়ির হিসাবে সময় হলেও একটু বিলম্ব করে ইফতার করা উত্তম। যখন নিশ্চিতভাবে জানা যায় যে সূর্য অস্ত গেছে, তখন আর দেরি না করে শিগগির ইফতার করা মুস্তাহাব। হাদিসে কুদসিতে বর্ণিত আছে যে ‘মহান প্রতাপশালী আল্লাহ বলেন, আমার বান্দাদের মধ্যে যারা দ্রুত ইফতার করে, তারাই আমার কাছে অধিকতর প্রিয়।’ এ সম্পর্কে নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘আমি ওই ব্যক্তিকে সর্বাধিক ভালোবাসি, যে ইফতারের সময় হওয়ামাত্র ইফতার করে নেয়।’ (তিরমিজি)
ইফতারের সময় হালাল দ্রব্য দিয়ে ইফতার করা মহাপুণ্যের কাজ। খোরমা, খেজুর, কিশমিশ অথবা পানি দিয়ে ইফতার করা ভালো। খুরমার অভাবে অন্য কোনো মিষ্টিজাতীয় খাবার যেমন শরবত বা দুধ দিয়ে অথবা পানি দিয়ে ইফতার করা উত্তম। রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজের আগে কয়েকটি তাজা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। তাজা খেজুর না পেলে শুকনো খেজুর, অর্থাৎ খোরমা দিয়ে ইফতার করতেন। আর যদি তাও না পেতেন, তাহলে কয়েক ঢোক পানি পান করে নিতেন। রোজাদার সারা দিন রোজা রেখে সূর্যাস্তের পর যখন ইফতার করেন, তখন সারা দিনের ক্ষুধা, তৃষ্ণা, ক্লান্তি, শ্রান্তি ভুলে গিয়ে অনাবিল আনন্দে বিভোর হন। রোজা পালনকারীর জন্য আল্লাহ তাআলা পুরস্কারস্বরূপ ইফতারের ব্যবস্থা রেখেছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘রোজাদারের জন্য দুটি খুশি। এর একটি হলো তার ইফতারের সময় আর অপরটি হলো আল্লাহর সঙ্গে তার সাক্ষাতের সময়।’ (বুখারি ও মুসলিম) কোনো রোজাদারকে ইফতার করানোয় অশেষ সওয়াব ও নেকি অর্জন করা যায়। অশেষ নিয়ামত এবং বরকত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, তা তার জন্য গুনাহ মাফ ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির কারণ হবে এবং সে রোজাদারের সমান সওয়াবের অংশীদার হবে।
রমজান মাসের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় হচ্ছে ইফতার। রোজাদার ধনী-গরিবনির্বিশেষে তার পরিবারের ছোট-বড় সব সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে সাধ্য অনুযায়ী রকমারি ইফতারসামগ্রী সামনে রেখে নির্দিষ্ট সময়ের অর্থাৎ সূর্যাস্তের অপেক্ষায় বসে থাকেন। এহেন কঠিন প্রতীক্ষার মধ্যে প্রকৃত রোজাদারের খোদাভীতির পরম শান্তিময় নিদর্শন প্রকাশ পায়। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ইফতার মুহূর্তে ফেরেশতাদের ডেকে বলেন, ‘দেখো! আমার বান্দাকুলের ধর্মভীরুতার কী অপূর্ব রূপ।’ এর ভেতরে রয়েছে আল্লাহভীতি, ন্যায়নিষ্ঠা, সংযম এবং প্রবৃত্তি দমনের চরম নিদর্শন।
সূর্যাস্তের পর ইফতারের সময় রোজাদার নিজের সঙ্গে পথিক, মুসাফির, পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়নির্বিশেষে অসহায় হতদরিদ্রকে সর্বান্তঃকরণে ও সবিনয়ে ইফতারিতে শরিক হতে আহ্বান করে থাকেন। এতে ইসলামের পারস্পরিক ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধে সবাই উদ্বুদ্ধ হন এবং নিজেদের ইফতারি পরস্পর ভাগাভাগি করে খাওয়ার মধ্যে চরম তৃপ্তি, অশেষ পুণ্য ও কল্যাণ লাভ করেন। সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে মানুষের আত্মশুদ্ধি, সংবেদনশীলতা, পারস্পরিক সহমর্মিতা, ধনী-গরিবের মধ্যকার ভালোবাসার উপলব্ধি ঘটে এবং ইফতার অনুষ্ঠানে এটি আরও বেশি উজ্জ্বল ও উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। তাই সূর্যাস্ত সম্বন্ধে নিশ্চিত হওয়ার পর রোজাদারদের দ্রুত ইফতার করার মাধ্যমে সওয়াব ও আনন্দ লাভের জন্য সচেষ্ট হওয়া উচিত।
ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: চেয়ারম্যান, ইসলামিক স্টাডিজ ও দাওয়াহ বিভাগ, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়।

For for information, please browse this link: http://ahlequran.blogspot.com/

No comments:

Post a Comment