বিতরের কাযা ও বিতরের নামায ওয়াজিব
বিতরের কাযা ও বিতরের নামায ওয়াজিব
বিতর
নামায যথা সময়ে না পড়া হলে তা কাযা পড়া বিধেয়। মহানবী (সাঃ) বলেন, যে
ব্যক্তি বিতর না পড়ে ঘুমিয়ে যায় অথবা তা পড়তে ভুলে যায় সে ব্যক্তি যেন তা
স্মরণ হওয়া মাত্র তা পড়ে নেয়।(মুসনাদ আহমাদ, (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও
ইবনে মাজাহ), হাকেম, মুস্তাদ্রাক, সহীহুল জামে ৬৫৬২নং) তিনি আরো বলেন, যে
ব্যক্তি ঘুমিয়ে থেকে বিতর না পড়তে পারে সে ব্যক্তি যেন ফজরের সময় তা পড়ে
নেয়।(তিরমিযী, ইরঃ ৪২২, সহীহুল জামে‘ ৬৫৬৩নং)
খোদ মহানবী (সাঃ)-এর কোন
রাত্রে বিতর না পড়ে ফজর হয়ে গেলে তখনই বিতর পড়ে নিতেন।(মুসনাদ আহমাদ ৬/২৪৩,
বাইহাকী ১/৪৭৯, তাবঃ, মাজমাউয যাওয়াইদ, হাইষামী ২/২৪৬)
একদা এক
ব্যক্তি মহানবীর দরবারে এসে বলল, হে আল্লাহর নবী! ফজর হয়ে গেছে অথচ আমি
বিতর পড়তে পারিনি। তিনি বললেন, বিতর তো রাত্রেই পড়তে হয়। লোকটি পুনরায় বলল,
হে আল্লাহর নবী! ফজর হয়ে গেছে অথচ আমি বিতর পড়তে পারিনি। এবারে তিনি
বললেন, এখন পড়ে নাও।(তাবরানী)
“বিতর নামাজ সম্পর্কীয় হাদীসসমূহ পর্যালোচনা করে ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, বিতর নামাজ ওয়াজিব অর্থাৎ ফরয ও ওয়াজিবের মাঝামাঝি। অন্যদিকে অন্য সকল ইমামদের মত হল বিতির সুন্নত........................ বিতির সময় মত না পড়তে পাড়লে কিংবা ভুলে গেলে তা স্মরণ হওয়ার পরে পড়ে নিতে হবে। অর্থাৎ ফরজ নামাজের ন্যায় বিতির কাযা করতে হবে । এই হাদীস এবং বিতির সম্পর্কে হযরত আলী ও হযরত আইয়ুব আনসারীর হাদীস ইমাম আবু হানীফার মতকেই শক্তিশালী করে , কেননা বিতির যদি অন্যান্য সুন্নত নামাজের ন্যায় সুন্নত হতো তাহলে হুজুর (ছঃ) এ কথাও বলতেন না এবং বিতির কাযা করার নির্দেশ দিতেন না” (মুমতাজুল মোহাদ্দেসীন আবুল কালাম মুহাম্মদ ইউসুফ, হাদীসের আলোকে মানব জীবন, বিতিরের নামাজ অধ্যায়)
No comments:
Post a Comment