আহলে হাদীস কর্তৃক নবী-রাসূলদের প্রতি মিথ্যাচার ও কুরআন সুন্নাহ অস্বীকার

Tanzil Islam


মাদখালীপন্থী আহলে হাদীসেরা শিরকে আকবরে লিপ্ত, শায়েখ কাজী ইবরাহীম সে কথা বলেছেন। কারণ- তারা ইকামতে দ্বীন, তথা ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থার ঘোড় বিরোধী এবং কুফুরী শাসনব্যবস্থার প্রতি সন্তুষ্ট। দুনিয়ার স্বার্থে তারা আল্লাহর পরিবর্তে তাগুতকে বিধানদাতা হিসাবে মেনে নিয়ে শিরকে আকবরে লিপ্ত। তাদের এ শিরকি আকিদা সহীহ বলে প্রতিষ্ঠিত করতে দুনিয়াবী স্বার্থে তারা নবী রাসূলগণের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন বক্তৃতা, বিবৃতি ও লিখনীর মাধ্যমে মিথ্যাচার করে এবং কুরআন সুন্নাহ অস্বীকার করে নির্দ্বিধায়।
যেমন, আহলে হাদীসের আমীর ড. গালিব বলেন, "নবীগণ রাষ্ট্র ক্ষমতার জন্য লালায়িত (আকাঙ্ক্ষী, কামনাকারী) ছিলেন না এবং তা পাবার জন্য লড়াইও করেননি। এমনকি একদিনের জন্য রাষ্ট্র ক্ষমতার মালিক না হয়েও সারা বিশ্বের মানুষ তাঁদের ভক্ত অনুসারী ও সশ্রদ্ধ অনুগামী হয়েছে।" (গালিব, ইক্বামতে দ্বীন: পথ ও পদ্ধতি, ১ম প্রকাশ : মার্চ ২০০৪; পৃঃ ১৩)
গাঁজাখোর শায়েখ মুযাফফর বিন মুহসীন বলেন, "অতএত দ্বীন কায়েমের অর্থ যদি রাষ্ট্রক্ষমতা অধিষ্ঠিত হওয়া করা হয়, তাহলে প্রমাণিত হবে যে, কোন নবী-রাসূলই তাঁদের উপরে আর্পিত দায়িত্ব পালন করেননি।" (মুযাফফর, ভ্রান্তির বেড়াজালে ইকামতে দ্বীন, ১ম প্রকাশ: মার্চ ২০১৪; পৃঃ ২১০) অর্থাৎ কোন নবী-রাসূলই রাষ্ট্র নায়ক হতে পারেননি। (নাউযুবিল্লাহ)
.
তাদের কথা সারসংক্ষেপ -
১. নবীগণ রাষ্ট্র ক্ষমতার জন্য লালায়িত অর্থাৎ আকাঙ্ক্ষী, কামনাকারী ছিলেন না। তাদের দাবী নবীগণ আহলে হাদীসের মতই কুফুরী শাসনে সন্তুষ্ট ছিলেন! (নাউযুবিল্লাহ)
২. আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধান রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য কুফুরী রাষ্ট্রের সাথে লড়াইও করেননি।
৩. কোনো নবী-রাসূলই এক দিনের জন্যেও রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হননি।
.
জবাবঃ-
প্রথমেই বলে রাখি, 'দ্বীন কায়েমের অর্থ রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়া' পৃথিবীতে কেউ এমন অর্থ করেছেন বলে আমি জানি না। বরং দ্বীন কায়েম মানে দ্বীন ইসলামের সকল বিধান সার্বিকভাবে প্রতিষ্ঠা করা। আর রাষ্ট্রক্ষমতা ছাড়া পরিপূর্ণ ভাবে দ্বীন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রাহিমাহুল্লাহ এ বিষয়ে বলেনঃ
ان ولاية امر الناس اعظم واجبات الدين بل لاقيام للدين الا بها ولان الله تعالي اوجب الامر بالمعروف و النهي عن المنكر ولايتم ذلك الا بقوة وإمارة ونصرة المظلوم وكذلك ساءر ما اوجبه من الجهاد والعدل واقامة الحدود لا تتم الا بالقوة والامارة.
"জনগণের যাবতীয় ব্যাপার সুসম্পন্ন করা তথা শাসন-ব্যবস্থা কায়েম করা দ্বীনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য বিষয় বরং শাসন-ব্যবস্থা (রাষ্ট্র) এমন এক অপরিহার্যতা যা ছাড়া দ্বীন প্রতিষ্ঠা হতেই পারে না। কেননা আল্লাহ তা'য়ালা ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ও অন্যায়ের প্রতিরোধ এবং মজলুমদের সাহায্য করা ওয়াজিব করে দিয়েছেন। এ ওয়াজিব পালন রাষ্ট্র ও শাসনব্যবস্থা ছাড়া সম্ভব নয়। এ ভাবে তিনি জিহাদ, ইনসাফ ও আইন-শাসন প্রভৃতি যেসব কাজ ওয়াজিব করে দিয়েছেন তা রাষ্ট্রশক্তি ও শাসন-ব্যবস্থা ছাড়া কিছুতেই হতে পারে না।" (আস-সিয়াসাতুশ শরইয়্যাহ, শরীয়াহর নীতি, পৃষ্ঠাঃ ১৬১-১৬২)
.
এবার আসি মূল কথায়-
১. নবীগণ নিজ স্বার্থে রাষ্ট্রক্ষমতা পাবার জন্য লালায়িত ছিলেন না কিন্তু আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার স্বার্থে, জনগণের মাঝে ইনসাফ করার জন্যে লালায়িত তথা আকাঙ্ক্ষী ছিলেন। কিন্তু আহলে হাদীসেরা এ বিষয়টিকে সরাসারি অস্বীকার করে ভয়ঙ্কর কুফুরী করেছে।
(ক) আল্লাহর বলেন-
ﻗَﺎﻝَ ﺍﺟْﻌَﻠْﻨِﻲْ ﻋَﻠَﻰ ﺧَﺰَﺁﺋِﻦِ ﺍﻷَﺭْﺽِ ﺇِﻧِّﻲْ ﺣَﻔِﻴْﻆٌ ﻋَﻠِﻴْﻢٌ -
‘ইউসুফ বলল, আপনি আমাকে দেশের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে নিয়োজিত করুন। আমি বিশ্বস্ত রক্ষক ও বিজ্ঞ’ (ইউসুফ ১২/৫৫)।
(খ) আল্লাহ তা'য়ালা বলেন,
قَالَ رَبِّ اغْفِرْ لِي وَهَبْ لِي مُلْكًا لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ مِنْ بَعْدِي ۖ إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ.
সুলাইমান বলল, ‘হে আমার রব, আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে এমন এক রাজত্ব দান করুন যা আমার পর আর কারও জন্যই প্রযোজ্য হবে না। নিশ্চয়ই আপনি বড়ই দানশীল। (সূরা সোয়াদ: ৩৮/৩৫)
(গ) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে আল্লাহ তা'য়ালা বলেন,
وَقُلْ رَبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَلْ لِي مِنْ لَدُنْكَ سُلْطَانًا نَصِيرًا.
আর বল, ‘হে আমার রব, আমাকে প্রবেশ করাও উত্তমভাবে এবং বের কর উত্তমভাবে। আর তোমার পক্ষ থেকে আমাকে সাহায্যকারী (রাষ্ট্র)শক্তি দান কর’।
(সূরা বানী ইসলাঈল: ১৭/৮০)
এ আয়াতের তাফসীরে আল্লামা ইবনে কাসীর রাহঃ বলেন,
'আল্লাহ তা'য়ালা নির্দেশ দিচ্ছেন যে, বিজয় লাভ ও সাহায্যের জন্য আমার নিকট প্রার্থনা কর। এই প্রার্থনার কারণে আল্লাহ তা'য়ালা পারস্য ও রোম রাষ্ট্র বিজয় এবং সম্মান প্রদানের ওয়াদা করেন। এটাতো রাসূলুল্লাহ (সাঃ) জানতেই পেেরছিলেন যে,
أن لا طاقة له بهذا الأمر إلا بسلطان، فسأل سلطانا نصيرا لكتاب الله، ولحدود الله، ولفرائض الله، ولإقامة دين الله-
রাষ্ট্রীয় বিজয় লাভ ছাড়া দ্বীনের প্রসার ও শক্তিলাভ সম্ভবপর নয়। এ জন্যই তিনি আল্লাহর নিকট সাহায্য ও রাষ্ট্রীয় বিজয় কামনা করেছিলেন, যাতে তিনি আল্লাহর কিতাব, আল্লাহর আইন, আল্লাহর ফরজসমূহ এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে পারেন।' (তাফসীরে ইবনে কাসীর)
সুতরাং ''নবীগণ রাষ্ট্র ক্ষমতার জন্য লালায়িত অর্থাৎ আকাঙ্ক্ষী, কামনাকারী ছিলেন না" - এটি গালিব স্যারের নবীদের নামে যেমন মিথ্যাচার, তেমনি কুরআন অস্বীকার।
.
২. আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে (সূরা সফ: ৬১/৯-১২) সকল বাতিল দ্বীনের উপর আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য জিহাদ করতে আদেশ করেছেন। এর বিনিময়ে তিনি জাহান্নামের আযাব থেকে মুক্তি দেবেন এবং জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। এরপর বলেন,
وَأُخْرَىٰ تُحِبُّونَهَا ۖ نَصْرٌ مِنَ اللَّهِ وَفَتْحٌ قَرِيبٌ ۗ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ.
এবং আরো একটি (প্রতিদান) যা তোমরা খুব পছন্দ কর। (তা হল) আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য ও নিকটবর্তী বিজয়। আর মুমিনদেরকে তুমি সুসংবাদ দাও। (সূরা সফ: ৬১/১৩)
অর্থাৎ, যখন তোমরা তাঁর রাস্তায় লড়াই করবে এবং তাঁর দ্বীনের সাহায্য করবে, তখন তিনি তোমাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিজয় ও সাহায্য দানে ধন্য করবেন। আর আল্লাহ তা'য়ালা নিজেই যখন লড়াই এর নির্দেশ দিচ্ছেন এবং বিনিময়ে আখিরাতে জান্নাত ও দুনিয়াতে রাষ্ট্রীয় বিজয় দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন; সেখানে আহলে হাদীস বাধা দেওয়ার কে? অধিকন্তু স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর পূণ্যময় আমলে মক্কা, খাইবার, বাহরাইন, সমগ্র আরব উপদ্বীপ ও সমগ্ৰ ইয়ামান তাঁরই নেতৃত্বে লড়াই এর মাধ্যমে বিজিত হয় এবং তিনি হিজরের অগ্নিপূজারী ও শাম দেশের কতিপয় অঞ্চল থেকে জিযিয়া কর আদায় করেন। খলিফাদের শাসনামলে তিব্র লড়াই এর মাধ্যমে পারস্য, সিরিয়া, মিসর, বসরা ও দামেস্ক বিজিত হয় এবং কায়সার ও কিসরার রাজত্ব সমূলে নিশ্চিহ্ন হয়। উসমান (রাঃ) এর খেলাফতকালে ইসলামী বিজয়ের পরিধি পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। পাশ্চাত্য দেশসমূহ, আন্দালুস ও সাইপ্রাস পর্যন্ত, দূরপ্রাচ্য চীন ভূখণ্ড পর্যন্ত এবং ইরাক, খোরাসান ও আহওয়ায ইত্যাদি রাষ্ট্র সব তাঁর আমলে লড়াই করেই মুসলিমদের অধিকারভুক্ত হয়। (দেখুন-কুরতুবী সূরা নূর: ২৪/৫৫ তাফসীর)
.
৩. তারা দাবী করেছেন কোনো নবী-রাসূলই একদিনের জন্যেও রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পারেননি- এটিও তাদের সহীহ কুফুরী আকিদা। কেননা, অসংখ্য, অগণিত নবী রাসূলগণ খিলাফাত তথা ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে আল্লাহ প্রদত্ত বিধান দ্বারা শাসনকার্য পরিচালনা করেছেন। এ বিষয়ে কুরআন হাদীসে একাধিক দলিল মজুদ আছে। যেমন- কুরআনে বর্ণিত হয়েছে,
وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنْكُمْ وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَيَسْتَخْلِفَنَّهُمْ فِي الْأَرْضِ كَمَا اسْتَخْلَفَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِهِمْ وَلَيُمَكِّنَنَّ لَهُمْ دِينَهُمُ الَّذِي ارْتَضَىٰ لَهُمْ وَلَيُبَدِّلَنَّهُمْ مِنْ بَعْدِ خَوْفِهِمْ أَمْنًا ۚ يَعْبُدُونَنِي لَا يُشْرِكُونَ بِي شَيْئًا ۚ وَمَنْ كَفَرَ بَعْدَ ذَٰلِكَ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ-
তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে এ মর্মে ওয়াদা দিয়েছেন যে, তিনি তাদেরকে জমিনে খিলাফাত প্রদান করবেন, যেমন তিনি খিলাফাত প্রদান করেছিলেন তাদের পূর্ববর্তীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই তাদের জন্য দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করবেন, যা তিনি তাদের জন্য পছন্দ করেছেন এবং তিনি তাদের ভয়-ভীতি শান্তি-নিরাপত্তায় পরিবর্তিত করে দেবেন। তারা আমারই দাসত্ব করবে, আমার সাথে কোন কিছুকে শরীক করবে না। আর এরপর যারা কুফরী করবে তারাই ফাসিক। (সূরা নূর : ২৪/৫৫)
এ আয়াত লক্ষ্য করেন বলা হচ্ছে,
كَمَا اسْتَخْلَفَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِهِمْ
"যেমন তিনি খিলাফাত প্রদান করেছিলেন তাদের পূর্ববর্তীদেরকে।" পূর্ববর্তী বলতে এখানে পূর্বের নবী-রাসূলগণকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ পূর্ববর্তী নবীগণ খিলাফাত কায়েম করে রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে ছিলেন।
সহীহ হাদীস এসেছে- রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন,
ﻛَﺎﻧَﺖْ ﺑَﻨُﻮْ ﺇِﺳْﺮَﺍﺋِﻴْﻞَ ﺗَﺴُﻮْﺳُﻬُﻢْ ﺍﻷَﻧْﺒِﻴَﺎﺀُ ﻛُﻠَّﻤَﺎ ﻫَﻠَﻚَ ﻧَﺒِﻲٌّ ﺧَﻠَﻔَﻪُ ﻧَﺒِﻲٌّ ﻭَﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﺎ ﻧَﺒِﻲَّ ﺑَﻌْﺪِﻱْ ﻭَﺳَﻴَﻜُﻮْﻥُ ﺧُﻠَﻔَﺎﺀُ .
বনী ইসরাঈলের নবীগণ তাঁদের উম্মাতকে (আল্লাহ প্রদত্ত বিধান দ্বারা) শাসন করতেন। যখন কোন একজন নবী মারা যেতেন, তখন অন্য একজন নবী তাঁর খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করতেন। আর আমার পরে কোন নবী নেই। তবে অনেক খলীফা হবে (যারা আল্লাহর বিধান রাষ্ট্র পরিচালনা করবে)।
(সহীহ বুখারী, হাঃ ৩৪৫৫; সহীহ মুসলিম হাঃ ১৮৪২; মুসনাদে আহমাদ, হাঃ ৭৯৪৭; সুনান ইবনে মাজাহ হাঃ ২৮৭১; আইনী, উমদাতুল ক্বারী হাঃ ৩৪৫৫; ইবনে হাজার, ফাতহুল বারী ৬/৪৯৫, ৮/১১০, ১০/৫৭৭)
এ হাদীস দ্বারা অকাট্য ভাবে প্রমাণিত হয় যে, আমাদের নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) সহ অসংখ্য নবী রাসূলগণ রাষ্ট্রক্ষমতায় সমাসীন হয়ে আল্লাহর বিধান দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালা করেছেন। এছাড়াও আল্লাহ তা'য়ালা হযরত নূহ, ইবরাহী ও তাঁর বংশধর ইসমাঈল, ঈসাহাক, হযরত মূসা (আঃ) ও বনী ইসরাঈলদের অন্যান্য নবী, ইউনুস, দাউদ, সুলাইমান, ইউসুফ (আঃ) সহ কুরআনে বর্ণিত কতিপয় নবীর নাম ধরে ধরে তাঁদের রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। (দেখুন- সূরা বাকারাঃ ২/২৫১; সূরা নিসাঃ ৪/৫৪; সূরা মায়িদাঃ ৫/২০; সূরা আ'রাফঃ ৭/১২৯, ১৩৭, ১৪২; সূরা ইউনুসঃ ১০/৭৩, ৯৩; ইউসুফ ১২/৫৬; কাসাসঃ ২৮/৪-৬; সোয়াদঃ ৩৮/২৬, ৩৫)
সুতরাং মাদখালী শায়েখদের উক্তি "কোনো নবী-রাসূলই এক দিনের জন্যেও রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হননি" - এ কথা নবীদের নামে ডাহা মিথ্যাচার এবং সরাসারি কুরআন হাদীস অস্বীকার, যা সহীহ কুফুরী। তাই আমরা তাদের প্রকাশ্যে তাওবা করে কুফুরী থেকে ফিরে আসার উপদেশ দিচ্ছি। হে আল্লাহ আমাদের ইকামতে দ্বীনের বিরোধী শক্তি কথিত আহলে হাদীসের হেদায়াত দাও! হেদায়াত না থাকলে তাদের কুফুরী ফিতনা থেকে আমাদের হেফাজত কর! (আমিন)


No comments:

Post a Comment